কেন হবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার


নয়টা পাঁচটা অফিস যাদের পছন্দ না, যারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তারাই এই প্রফেশন কে বেছে নিবেন। নিজের দক্ষতা নিয়ে মনমত কাজ করতে চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এখানে কাজের ক্ষেত্র বিশাল। যার মধ্যে সম্ভবনা আছে সে সফল হবেই।

কি ধরনের যোগ্যতা থাকলে হওয়া যায় গ্রাফিক্স ডিজাইনারঃ

যদি রং এবং রঙের প্রয়োগ সম্পর্কে আপনার ভালো ধারনা থাকে তবে এই কাজটি আপনারই জন্য। সূক্ষ্ম দৃষ্টি থাকতে হবে দেখার এবং সৃষ্টিশীল মন থাকতে হবে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন তৈরির জন্য। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে ডিজাইনের উপর একাডেমীক পড়াশুনা বাধ্যতামূলক না। তবে ডিজাইনের উপর জ্ঞান থাকলে ভালো ডিজাইন তৈরির ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এই প্রফেশনে আসতে হলে কম্পিউটার সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে।

যে কাজগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা করে থাকেনঃ

যে কোন ম্যাসেজ ডিজাইনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই ডিজাইনারদের কাজ আর এই কাজটি করতে হলে মানুষের মনকে ঠিকমতো বুঝতে হবে। কাদের জন্য কোন ম্যাসেজটি যাবে তাদের বয়স এবং পছন্দ অপছন্দ কে বিবেচনায় রেখে ডিজাইন তৈরি করতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা মূলত যে কাজগুলো করে থাকেন সেগুলো হলঃ
-  দৈনিক পত্রিকার কাজ
-  ম্যাগাজিনের কাজ
-  বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপন তৈরি
-  লোগো তৈরি
-  ওয়েবসাইট তৈরি
-  মুভি পোস্টার তৈরির কাজ
-  শপিং বাগের ডিজাইন তৈরির কাজ
-  যে কোন পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য ডিজাইন তৈরি।

 ডিজাইন তৈরির কাজটি কি আনন্দদায়কঃ

অবশ্যই এই কাজটি আনন্দদায়ক। আগাই বলেছি যাদের সৃষ্টিশীল মন আছে তারা করবেন এই কাজ। যদি আপনি আঁকতে পছন্দ করেন এবং রং রেখা আর শিল্প নিয়ে খেলতে পছন্দ করেন এবং সেই সঙ্গে পছন্দ করেন বিচিত্রময় কাজকরতে তবে ডিজাইন তৈরির কাজটি আপনার জন্য আনন্দদায়ক হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা যে সফটওয়্যারগুলো বাবহার করেনঃ

ডিজাইনাররা সাধারণত ফটোশপ আর ইলাস্ট্রেটরে ডিজাইন তৈরি করেন। নতুন ভার্শনের সফটওয়্যার ব্যাবহার করাটাই ভালো।

যে বিষয়গুলো অনুসরণ করলে ভালো করবেনঃ

-  ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের জন্য ভালো ইংরেজি জানতে হবে।
-  যার জন্য কাজ করবেন তাঁর চাহিদাগুলো ভালভাবে বুঝে নেয়া।
-চাহিদা অনুযায়ী পেন্সিল স্কেচ করে নেয়া।
-পেন্সিলে আঁকা ডিজাইনের উপর বার বার কাজ করে সঠিক রুপ দেয়া
-ফাইনাল ডিজাইনটি ফটোশপ অথবা ইলাস্ট্রেটরে তৈরি করা।
-সঠিক লেয়ার, রং, টেক্সট, ইমেজ ব্যাবহার করা।
-নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লায়েন্টের কাছে ডিজাইন পৌঁছে দেয়া। এটা খুবই জরুরি একটি বিষয়।

জানতে হবে ডিজাইনের মূলনীতিঃ

সাধরন একটি ডিজাইনও মানুষের নজর কাড়তে পারে। এই কারনেই জানতে হবে কোন নিতিগুল মাথায় রেখে ডিজাইন তৈরি করলে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়।

কিছু জরুরি বিষয়ঃ

প্রিন্টিং অথবা ওয়েবপেইজে ডিজাইনটি কিভাবে যাবে তা ডিজাইনাররাই ঠিক করে দেন। যেকোনো পণ্য কেনা বেচার বেলায় সেই পণ্যের বিজ্ঞাপনটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। মানুষের সাথে পণ্যের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্চে বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের লেখাটি প্যারাগ্রাফ আকারে হবে নাকি হেডলাইনে যাবে, কোন ধরনের ফন্ট ব্যাবহার হবে, লেখার মাঝে স্পেস কেমন থাকবে ফন্ট কালার কি হবে, যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় ডিজাইনাররা করে থাকেন। এই সব কাজগুলি নিখুঁত ভাবে করার একটাই উদ্দেশ্য আর তা হচ্ছে আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করা।

 কে কোন ধরনের কাজ করবেনঃ

সবার প্রথমে মাথায় রাখতে হবে নিজের আগ্রহ এবং যোগ্যতাকে। কাজের ক্ষেত্র বেছে নেয়ার আগে জানতে হবে কি ধরনের কাজ করতে আপনার ভালো লাগে। কেউ হয়ত ভালো লোগো বানাতে পারবেন আবার কেউ হয়ত বানাতে পারবেন মানসম্মত ওয়েব টেম্পলেট। পছন্দ এবং আগ্রহ থাকলে কাজের মান হবে অনেক ভালো। আরেকজন কি ধরনের কাজ করছেন সেটা চিন্তা করার দরকার নেই, আপনি কোন ধরনের কাজ করতে আগ্রহি তা ভেবে দেখেন।

কাজের সময় এবং পরিবেশঃ

এই প্রফেশনে কাজ করার জন্য বাঁধা ধরা কোন সময় নেই। শুধু একটা কথা মনে রাখতে হবে ক্লায়েন্টের নির্ধারিত সময়ে কাজটি জমা দিতে হবে, ডিজাইনাররা তাদের সুবিধামত কাজ করেন। কাজের চাপ বুঝে কাজ করতে হবে।
কেন হবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কেন হবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার Reviewed by sohel on March 01, 2015 Rating: 5
Powered by Blogger.