Memory Card কতটুকু গুণগত মাণসম্পন্ন ,আজই যাচাই করে নিন
যা যা জেনে নেয়া প্রয়োজন:
১। লাইফ-টাইম (Lifetime)
সকল ব্র্যান্ডেড Memory Card এর সাথে বলে দেয়া হয় “Lifetime Guarantee ”। কিন্ত এই Lifetime Guarantee এর অর্থ কি আমরা জানি? অনেকেই মনে করছেন হয়ত Lifetime মানে আজীবন যে কোনও সময় সমস্যা হলেই গ্যারান্টী পাওয়া যাবে, আর Lifetime কথাটির মানেও তো আসলে তাই। কিন্ত এই জীবন সেই জীবন নয়, তা মেমরী কার্ডের প্যাকেজিং পড়লেই বোঝা সম্ভব।
মেমরী কার্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ফ্ল্যাশ মেমরী সার্কিট। এসব সার্কিট থেকে কত বার ডাটা পড়া যাবে ও ডাটা লেখা যাবে সেটির একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে, কমদামীর ক্ষেত্রে হয়ত ১০,০০০ বার আর বেশী দামীর ক্ষেত্রে হয়ত ১০০,০০০ বার বা ১,০০০,০০০ বার ও হতে পারে। এই রিড/রাইট সাইকেলের লিমিটকেই ধরা হয় Memory Card টির Lifetime। অর্থাৎ, Guarantee ততদিনই পাবেন যতদিন এই Lifetime পার না হবে – অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই লিমিটের পর কার্ডটি এমনিও নষ্ট হয়ে যাবে, তখন দেখা যাবে কার্ড Corruptআর Format করাও সম্ভব হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে যা দেখে কিনবেন: Memory Card এর গ্যারান্টী না দেখে দেখা উচিৎ সেটার Lifetime রিড-রাইট সাইকেল কতবার। যত বেশী হবে সেটী তত ভালো, অন্তত ১০০,০০০ বার না হলে সেটি কেনা উচিৎ নয় (যদিনা আপনি কার্ডটি শুধু ডাটা Backup রাখার কাজে ব্যবহার না করেন, মানে ফোনে বা ট্যাবে লাগানো অবস্থায় থাকবেনা)।
২। কার্ডটির ক্লাস:
Memory Card এর ব্যবহারীক সুবিধা অনেকটাই নির্ভর করে সেটীর রিড/রাইট স্পিডের ওপর। বিশেষ করে ডিএসএলআর ক্যামেরা বা হাই-ডেফিনেশন ভিডিও করার সিস্টেম সহ ফোনের জন্য এটি একটা বড় ব্যাপার। তবে এই রিড-রাইট স্পিড বোঝার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে কার্ডটির ক্লাস দেখে কেনা। ক্লাসটি Memory Card এর গায়ে @ এর মত করে লেখা থাকে।
ক্লাস ২ = ২মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৪ = ৪মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৬ = ৬মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৮ = ৮মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ১০ = ১০মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস U1 = ১০ মেগাবাইটের ওপর স্পিডে রাইট করা যাবে প্রতি সেকেন্ডে
এইচডি ১০৮০পি ভিডিও রেকর্ড করার জন্য অন্তত ক্লাস ৬ কার্ড কেনা উচিৎ। তবে ৬ এর চাইতে ক্লাস ১০ বা ক্লাস U1 আরও বেশী পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। (তবে নকল কার্ডের গায়ে লেখা ক্লাস সম্পূর্ণ ভুয়া। সেগুলো ২ বা ৪ ক্লাসের বেশী নয়)
৩। কার্ডটির সত্যিকারের নির্মাতা কে:
Memory Card কিনতে গেলে ব্র্যান্ডের অভাব পড়েনা। স্যামসাং, তোশিবা, ট্র্যানসেন্ড, এ-ডাটা, এপ্যাসার, স্যানডিস্ক, এমনকি কালাম নামেও কার্ড পাওয়া যায়। তবে কেনার সময় এই বিষয় বেশ সতর্কতা প্রয়োজন:
– স্যামসাং এর তৈরি কার্ড বাংলাদেশে খুব কম পাওয়া যায়। ৯০% ক্ষেত্রেই নিম্মমানের কার্ড স্যামসাং এর নামে বাজারজাত করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
– তোশীবার কার্ড ও একই, বেশীরভাগই নকল কার্ড।
– স্যান ডিস্কের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এমন, তবে U1 কার্ডগুলো নকল হবার সম্ভাবনা কম। ভালো নামী দোকান থেকে কিনুন।
কার্ড কেনার সময় কার্ডের গায়ে কোনও হলোগ্রাম আছে কিনা দেখে নিন। হলোগ্রামে যদি KALAM শব্দটি চোখে পড়ে তাহলে বেশী দাম দিয়ে কেনা থেকে বিরত থাকুন, কেননা তা নকল ও নিম্মমানের তবে অল্পকিছুদিন ব্যবহার করার যোগ্য (লাইফ-টাইম কম)।
ট্র্যানসেন্ড, এ-ডাটা বা এপ্যাসার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই, এদের কার্ড Orginal প্রচুর পাওয়া যায় ও লাইফ-টাইম ও ১০০,০০০ বার এর বেশী।
CSS শিখার জন্য বাংলা ইবুক । |
সরাসরি দেখুন বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫ ।
|
Memory Card কতটুকু গুণগত মাণসম্পন্ন ,আজই যাচাই করে নিন
Reviewed by sohel
on
March 31, 2015
Rating: